Showing posts with label প্রেমের সকল কবিতা. Show all posts
Showing posts with label প্রেমের সকল কবিতা. Show all posts

Friday, December 8, 2023

তোমার কথাই যে মনে পড়ে রাত্রি যখন আসে চুপিসারে

শ্রাবনে ঝর ঝর বর্ষা নামে,
মাঠ ঘাট ভেসে জায় জলে,
ঝিলের শাপলারা সব হেসে ওঠে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

গ্রীষ্মের খরাতপ্ত উদাস দুপুরে,
একাকী পান্থ হেঁটে যায় দূরে,
বিস্তীর্ন দিগন্তে পাখিরা যায় উড়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

একদিন সন ধ্বংস হবে লয়ে,
অশান্ত বিশ্ব আসবে শান্ত হয়ে,
সমূদ্র নাচবে ঢেউ এর প্রলয়ে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

ফসলের মাঠে বাতাস বয়ে চলে,
গাছগুলো সব একাধারে হেলে পড়ে,
অবসন্ন কৃষক মাঠে থাকে বসে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

শীতের ঢেকে যাওয়া কুয়াশার চাদরে,
ঠান্ডা হিমেল বাতাসের পরশে,
প্রকৃতি মেতে ওঠে উৎসব পার্বণে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

প্রকৃতিতে যখন মোহনীয় বসন্ত আসে,
চারিদিক শোভিত হয় ফুলের সৌরভে,
মৌমাছিরা ফুলে মধু খুঁজে ফেরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

পূর্ব দিগন্তে যখন সূর্য্য ওঠে হেসে,
গাছে গাছে পাখিরা মাতে কূজনে,
প্রকৃতি সজ্জিত হয় অপূর্ব সাজে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

হৃদয় যখন হয়ে ওঠে অশান্ত,
তোমার স্মৃতি মনকে করে শান্ত,
রাত্রি যখন আসে চুপিসারে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

রঙের পসরা নিয়ে রংধনু ওঠে,
হৃদয় মাতে যখন আপন খেয়ালে,
ভরে যায় সব বর্ণিল ছবিতে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

মন উদাস হয় বাঁশির করুণ সুরে,
বারবার মনে হয় নও তুমি দূরে,
যখন এলে তুমি এই মনের গভীরে,
তখন তোমার কথাই যে মনে পড়ে!

আমায় পাবে না খুঁজে যখন হারিয়া যাব সবার শেষে

আমাকে দূরে চলে যেতে হবে, দূরে অনেক দূরে;
এই লোকালয় থেকে নির্জনে অজানা কোন অন্তপুরে!
যেখানে কেউ কোন ভাবেই পাবে না আমার দেখা,
যেখানের দিন ক্ষন তারিখ কিছুই রবে না লেখা!
জানি না আমি এমন জায়গার মিল্বে কি সন্ধান?
যদি পেতাম তাহলে অবিলম্বেই করতাম প্রস্থান!
এমন জায়গা যেটা কিনা হবে সমুদ্রের কাছাকাছি,
যেখানে আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে পানির পাশাপাশি!
বাতাসে দোলা যেথা আনে পাতায় পাতায় আলোড়ন,
আমি একা সেই সব দৃশ্য করতে চাই অবলোকন!
মর্মর ধ্বনি যেথা মনে এনে দেবে এক চাঞ্চলতা,
সমুদ্রের সাথে যেথা হবে আকাশের কথকতা!
পাখিরা উড়ে যাবে যেথা শুন্যে রঙ্গিন ডানা মেলে,
সেখানেই যেতে চাই আমি সবকিছুকে পিছনে ফেলে।
যেখানে থাকবে না কোন দুঃখ হতাশার দৈন্য দশা,
থাকবে না কোন জরা, ব্যাধি, শোক আর নিরাশা!
একা একা থাকবো, যেখানে কেউ পাবে না খুঁজে,
যেথায় থাকতে হবে না আমার দুঃখে মুখটি গুজে!
তাইত আমাকে চলে যেতে হবে দূরে, অনেক দূরে-
যেখানে তুমি পাবে না আমায় সারা পৃথিবী ঘুরে

Wednesday, December 6, 2023

বন্ধু তোমায়

বন্ধু তোমার কি মনে আছে পুরানো সেই কথা?
বলেছিলে তুমি, “বন্ধু তুমি ছাড়া এই জীবনটাই বৃথা”
সেদিনের সেই বিপদের কালে, তুমি এসে ধরেছিলে হাত,
আজও আমি ভুলতে পারিনি সেই ভয়াল কাল রাত!
তোমার পানে তাকিয়ে ভুলেছিলাম আমার যত ভয়,
আমার স্মৃতির কোঠা থেকে এতটুকু হয়নি ক্ষয়!
জানি না কি অপরাধে তুমি ফিরায়ে নিয়েছো মুখ,
একবারও কি ভাব্লে না, আমি কতখানি পেলাম দুখ?
কি করে ভুলে গেলে আমাদের সেই পরিকল্পনা?
বন্ধু তোমার সাথেই তো এঁকেছিলাম এক স্বপ্নের আল্পনা।
জানতে কি ইচ্ছে হয় না তোমার, কেমন আছি আমি?
কখনোও কি ভাবলে না যে বন্ধুত্ব কতখানি দামী?
আজকে কোথায় তুমি? রয়েছ তুমি দূরে বহুদূর-
কিভাবে তাহলে বাজিছে আজ, পুরানো সেই সুর?
বন্ধুত্ব সদা অম্লান থাকে, কখনও কি পুরানো হয়?
পোষাক পাল্টে কি কখনও মানুষটাও পাল্টে যায়?
একবার দেখ পিছন ফিরে, এরপর না হয় যেও তুমি,
আমার মনের কোথায় তোমায় সযতনে রেখেছি আমি!
তুমি হয়ত মনে করছো আমি করছি যত অভিযোগ,
নতুন পুরানো সব কথা তুলে করছি যোগ আর বিয়োগ।
না বন্ধু না! এটা নয় আমার কোন আক্ষেপ অভিমান,
যদি তুমি চাও তবে আমি দিতে পারি তার প্রমাণ!
বন্ধুত্বের মধ্যে পাঁচিল তুলে করা যায় না ব্যবধান-
বন্ধুকে কখনও যায় না ভোলা হোক না তা তিরধান!
কিছু ভালো লাগা, মন্দ লাগা আর প্রতিজ্ঞা নিয়েই বন্ধুত্ব,
আত্মত্যাগের মহিমায় প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে তার মহত্ব।
অনন্তকাল ধরেও যদি আমায় অপেক্ষায় রাখ তুমি,
এক মুহুর্তের জন্যও তোমায় ভুলতে পারবোনা আমি।
জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে যখন থমকে যাবে সময়,
তখনও ভুলতে পারবোনা আমি বন্ধু শুধু তোমায়!

ভুল বুঝ না আমায়.......

হাসো! হাসো না কেন? আমিই তো হাসির পাত্র!
যত খুশি হেসে ছুড়ে ফেলে দিও যত্র-তত্র!
যেথায় খুশি ফেলে দিও, কি বা যায় আসে তাতে?
আর আমি বিরক্ত করবনা দিনে কিংবা রাতে।
মানুষ হিসাবে যেটুকু ছিল প্রাপ্প মুল্যায়ন-
অনেক পেয়েছি, তাতেই আমার ভরে গেছে দুনয়ন!
কি নির্বধ আমি! অধিকারের সীমা করে অতিক্রম-
কি পেলাম আমি? পরিশেষে হল আমার মতিভ্রম!
ভুলেই গেছিলাম, চাওয়া-পাওয়া কিছু থাকতে নেই আমার,
তাই তো মাত্রা ছাড়িয়ে চলে গিয়েছি বারংবার!
“কি বলছো! এতে আমার হয়ে কিছু বদনাম?
হাসালে! আমার ছিল এক্‌টা কাগজের থেকেও কমদাম!”
ভুল! ভুল! কিছুই যে আমি বুঝতে পারিনি তখন,
বড় দেরি হয়ে গেল, ভুল্‌টা বুঝতে পারলাম যখন!
না না! ভয় নেই! আজ এর কাউকে দোষ দেব না আমি,
কতখানি কষ্ট পেয়েছি তা হানি আমি এর অন্তর্যামি!
কি হল? হাসছো না? আমি তো রয়েছি বহুদূরে,
ভয় নেই! তোমাদের জ্বালাতে আমি আসবনা এর ফিরে!
এক্‌টু তো হাসো! যাবার আগে দেখি তোমের হাসি মুখ,
আমার কপালে হয়ত তা জমা রবে হয়ে কিছুটা শুখ!
খুব ভাল লাগ্‌লো যখন জান্‌লাম তুমিও নও ব্যতিক্রম,
আগেই যদি বুঝতাম তবে হয়ত হত না এই বৃথাশ্রম!
দাড়াও, এক্‌টু হেসে নেই! এটুকু সময় তো অন্তত দেবে?
আমি কষ্ট পাই না পাই, তুমি তো নিশ্চই আনন্দ পাবে!
আজ বুঝলাম আমি আমার সীমা করেছিলাম লঙ্ঘন,
তাই তো চলে যাচ্ছি ছিন্ন করে সকল বাঁধন!
ভেবনা! আজ এর আমার মনে জমা নেই কোন ক্ষোভ,
কন পরিতাপ নেই, দুঃখ নেই, এর নেই কোন লোভ!
অনেক চেষ্টা করেও যখন বঝাতে পারলাম না তোমায়,
এক্‌টু এক্‌টু করে তখন পার হয়ে গিয়েছে সময়!
পোড়া কপাল! হতভাগা আমি! বুঝতে পারিনি কিছুই,
অহেতুক আস্ফালন করে করে কষ্ট দিয়েছি শুধুই!
তাও ভাল, দেরি হলেও ভেঙ্গে গেছে আমার ভুল,
কি আসে যায়, কন্‌টা হল অনুকূল অথবা প্রতিকূল?
আজ কেন পরছে মনে তোমার কথা ক্ষনে ক্ষনে?
এতটুকু জায়গা যখন করতে পারলাম না তোমার মনে!
দেখ তো কান্ড! শুধু শুধু সময় করছি নষ্ট-
ব্যবধানের দেয়াল গড়ে উঠেছে দেখতে পেলাম স্পষ্ট!
একদিন আমি ঘুমিয়ে যাব উঠব না আর জেগে,
ভালই হবে, তখন তুমি মুখ কালো করবেনা রেগে!
অনেক বেশি চেয়েছিলাম সীমা গিয়েছিলাম ছাড়িয়ে,
আজ তাই চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে হারিয়ে!
বিদায় কালে এক্‌টা কথা বলে দিতে চাই তোমায়,
শেষ অনুরোধ টা রেখ, ভুল বুঝ না আমায়!

শেষের দিনগুলো

আবেগ আর ভালবাসা
মানে না কোন নিয়ম!
হারিয়ে যেও না ওতে
যখন হয়ে যায় অতল!
জীবন খুবই ছোট
বন্ধুকে নিও চিনে!
উষ্ণতায় ভরে রেখ
হতে দিও না শীতল

Sunday, October 12, 2014

কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প


 রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

তাঁর চোখ বাঁধা হলো।
বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।
থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো,
জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝরে পড়লো কংক্রিটে।
মf…মাগো…চেঁচিয়ে উঠলো সে।

পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট
প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক।
পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে।
জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ
তার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।

দ্বিতীয় লাথিতে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলো দেহ,
এবার সে চিৎকার করতে পারলো না।

তাকে চিৎ করা হলো।
পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট, কালো ও কর্কশ।
কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,
বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।

সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো।
বুঝি সে-কারণে
ফরফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার শার্ট।
প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।

তার দুটো হাত-
মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,
যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,
লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।
সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।

তার দশটি আঙুল-
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,
প্রেয়সীর চিবুকের তিল।
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত,
স্বপ্নবান হাতিয়ার,
বাটখারা দিয়ে সে-আঙুল পেষা হলো।
সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।

লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,
একটি একটি করে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখগুলো।
কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।

সে এখন মৃত।
তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো
ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।

তার থ্যাতলানো একখানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-

উর্বশী

– বিষ্ণু দে

আমি নহি পুরূরবা। হে উর্বশী,
ক্ষনিকের মরালকায়
ইন্দ্রিয়ের হর্ষে, জান গড়ে তুলি আমার ভুবন?
এসো তুমি সে ভুবনে, কদম্বের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে।
ক্ষণেক সেখানে থাকো,
তোমার দেহের হায় অন্তহীন আমন্ত্রণবীথি
ঘুরি যে সময় নেই- শুধু তুমি থাকো ক্ষণকাল,
ক্ষণিকের আনন্দাঅলোয়
অন্ধকার আকাশসভায়
নগ্নতায় দীপ্ত তনু জ্বালিয়ে যাও
নৃত্যময় দীপ্ত দেয়ালিতে।
আর রাত্রি, রবে কি উর্বশী,
আকাশের নক্ষত্রাঅভায়, রজনীর শব্দহীনতায়
রাহুগ্রস্ত হয়ে রবে বহুবন্ধে পৃথিবীর নারী
পরশ-কম্পিত দেহ সলজ্জ উত্সুক?
আমি নহি পুরূরবা। হে উর্বশী,
আমরণ আসঙ্গলোলুপ,
আমি জানি আকাশ-পৃথিবী
আমি জানি ইন্দ্রধনু প্রেম আমাদের।

ম’রে যেতে সাধ হয়


-আনিসুল হক

শাহানা,
তুমি গোলাপী জামা প’রে জীবন্ত
গোলাপের মতো
ক্যাম্পাসে এসো না, আমার
খারাপ লাগে।
সখী পরিবৃতা হয়ে মোগল-দুহিতার
মতো
করিডোরে অমন ক’রে হেঁটো না,
আমার খারাপ লাগে।

শাহানা, তুমি চিবুক নাড়িয়ে
রাঙা মাড়িতে
দুধ শাদা হাতে
লালিম জিহ্বায়
গিটারের তারের
মতো বেজে উঠো না —
দরদালান কেঁপে উঠে, ঢিল
পড়ে বুকের পুকুরে,
কাঁপে পানি থিরিথিরি, আমার
খারাপ লাগে।

শাহানা, তুমি টিফিন
আওয়ারে ক্লাসরুমে ব’সে
অমন করে রাধার মতো দীর্ঘ চুল
মেলে দিও না
অন্ধকার
করে আসে সারাটা আকাশ
নিবে যায় সবগুলি নিয়ন
কালো মেঘের
উপমা দিতে আমার
ভালো লাগে না।

শাহানা, তুমি ক্যাফেটেরিয়ায়
নিরেট চায়ের কাপে
ওই দুটি ঠোঁট রেখো না;
নিদাঘ খরার পোড়ে ঠোঁটের
বাগান,
মরুভূর মতো জ্বলে তৃষ্ণার্ত সবুজ;
আমার মরে যেতে সাধ হয়।

কবিতার মা ও তার ছেলেপুলে


 রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

শোনো কবিতার মা, তোমার ছেলেপুলে গুলো
ইদানিং ভীষন জ্বালাতন করছে আমায় ।

পড়ার টেবিলে এসে লাফায় এলোমেলো
কলম পেলেই তুলে নেয় হাতে – কি সাহস !
জানো তো সারাদিন কি রকম ব্যস্ত থাকি
রাতে একটু ভালো ঘুমের দরকার --

ছেলেপুলে গুলো কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে অসভ্য
ঘুমের ভেতরে বুকে সুড়সুড়ি কেটে
জাগায় আমাকে । আলো জ্বেলে দিয়ে
টেনে এনে বসায় টেবিলে । বলে লেখো

একেমন ফাজলামো বলো তো !
মগজের ভেতর দ্রিমদ্রিম পিটোচ্ছে বাদ্যযন্ত্র
তোমার ছেলেপেলে ছিলো কি বদমাস
না হয়েছে
ওদের বারন কোরে দিও । সাবধান
ফের যদি বিরক্ত করে, ওদের এক এক জনকে
আমি কিন্তু বেঁধে রেখে দেবো কাগজে
ছেলেপুলেদের সাবধান কোরে দিও !

Saturday, March 23, 2013

তোমাকে নিয়েই ভাবছি

তোমাকে নিয়েই ভাবছি
তোমাকে নিয়ে যে ভাবতে হবে
তা কিন্তু, প্রথম দেখায় ভাবিনি
আর এখন…
আমার ভাবনার আকাশটি দখলে তোমার


আজ আবার অনেক দিন পরে
তোমায় নিয়ে লিখতে বসলাম
হাজারটা প্রশ্ন ছুড়ে দিওনা আবার
কি লিখছো, কি ভাবছো?
তুমি তো বেশ ভাল করেই জান
এর উত্তর আমি তোমায় দিতে পারবো না
ভাবতে ভাল লাগে তোমায় নিয়ে
লিখতে ভাল লাগে তোমায় ভেবে।

তোমার এটা বেশ ভাল করেই জানা
আমার মনের কথাগুলি আমি কখনোই
তোমাকে গুছিয়ে বলতে পারিনি
আর তুমি ই বলো
ভাবনার কথা গুলি যদি নাই বলি
তবে এতে এমন কিইবা ক্ষতি?

না বলা এই কথাগুলি
এ হৃদয়ে বেশ ভাল আছে
আমি তা বলছি না,
তবে এখনি সুন্দর একথাগুলিকে
আমি বিবস্ত্র করতে চাইনা।

আর ক’টাদিন সময় দাও
আমি ঠিকই এইদিন
না বলা এ কথাগুলি
তোমার হাতে রেখে হাত
কোন এক পূর্নিমা রাতে
তোমার পাশে বসে
গান বা কবিতার সুরে
নয়তো বা খোকাদের মতো
এক দমেই সব শুনিয়ে দিবো।

Friday, March 22, 2013

তুমি কি শুনবে ...আমার ভাল-মন্দ লাগা কিংবা দুঃখ ব্যথা?

তোমরা কি শুনবে কেউ
আমার কিছু কথা?
আমার ভাল-মন্দ লাগা
কিংবা দুঃখ ব্যথা?
মাঝে মাঝে নিজেকে
লাগে বড় একা,
মনের মত বন্ধুর দেখা
পাবো আমি কোথা?
চুপচাপ বসে থাকি
কিছুই লাগে না ভাল,
অবচেতন মন বলে ওঠে,
কিছু একটা কর।
কিন্তু কি করবো আমি
পাই না কোন কাজ,
কখন যে পার‌ হয়
সকাল-দুপুর-সাঁঝ!
একা একা কোন কিছুতেই
সময় আর না কাটে,
ইশ একটা কাজ এখন যদি
থাকতো আমার হাতে!
ভাল কিছু যখন আর
করার না থাকে,
উদ্ভট কিছু চিন্তা ভাবনা
মাথায় চলে আসে।
সেইসব চিন্তা ভাবনার
আগা মাথা নাই,
চিন্তার সাগরে কখনো ডুবে
হাবুডুবু খাই!
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে
বই নিয়ে বসি,
কি আর পড়বো? এখন তো
লাগছে সবই বাসি।
কখনো কখনো মনে হয়
কিছু একটা লেখি,
কখনো বা জানালা দিয়ে
দূরে তাকায়ে দেখি।
চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝে
সুদূরে হারিয়ে যায়,
মনের গভীর কল্পনা ছেড়ে
অনন্ত নীলিমায়।
কখনো আমি বন্ধুর কাছে
লিখতে বসি চিঠি,
উত্তরের প্রতিক্ষায় থাকে
আমার নয়ন দিঠি।
চোখের সামনে ভাসে যে
কত রঙ্গীন স্বপ্ন,
মনের মাঝে জাগে কত
হাজারো জটিল প্রশ্ন।
মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি
ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।

জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ দেখতে ভীষণ লাগে ভাল এই কি আমার দোষ

ছড়া কিংবা কবিতা,
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথিকা।
উদাস দুপুরে শুনি কভু
প্রিয় শিল্পীর গান,
মনের অজানে দিয়ে উঠি
দুই একটি টান।
ছাদে উঠে মাঝে মাঝে
রাতের বেলায় হাঁটি,
চুপিসারে নিজের সাথে
নিজেই কথা বলি!
একাকী কথা বলি দেখে
লোকে পাগল ভাবে,
যার জা ইচ্ছা ভাবুক,
আমার কি যায় আসে!
মাঝে মাঝে ঘোর বৃষ্টিতে
ভিজতে ভাল লাগে,
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ দেখতে
ভীষণ লাগে ভাল।
ছুটির দিনে সকাল বেলা
দেরী করেই উঠি,
সবার সুখে সুখী হই,
সবার দুখে দুখী।
বিপদে আপদে আমি কভু
হারাইনা মনোবল,
কষ্ট ব্যথা হোক না কেন
যতই কঠিন প্রবল।
একে একে অনেকেই তো
ছেড়ে গিয়েছে দূরে,
ওদের কথা সর্বদাই যে
খুব মনে পড়ে।

বিনা দোষে পেলাম এত্ত সাজা..

বিনা দোষে কেউবা আমার
করেছে আমায় পর,
হায়রে তোমারা বুঝলে না
কে বা আপন পর!
নির্দোষ আমি, কেন আমায়
দূরে ঠেলে দিলে?
কি অপরাধে তোমারা আমায়
ছেড়ে চলে গেলে?
কার ভুল ছিল বেশী
বুঝবে একদিন বুঝবে!
সময় নিশ্চই আসবে একদিন
খুঁজবে আমায় খুঁজবে!
একদিন সব ছেড়ে আমি
চলে যাব দূরে,
তখন খুঁজে পাবে না আমায়
সারা জগৎ ঘুরে।
যখন আমি থাকবো না
কার চোখের সামনে,
তখন কি পড়বে কারো
আমার কথা মনে?
জানি তখন সবাই তোমরা
ভুলেই আমায় যাবে,
একবার ডেকে দেখো আমায়
নিশ্চই সাড়া পাবে!
বেঁচে থাকতে কেউ আমায়
দিল না একটু স্নেহ,
একটু ভালবাসলো না কেউ
আদর করলো না কেহ।
যখন এই দুনিয়া ছেড়ে
মরণ আমার হবে,
তখন কারো মনে কি
আমার জায়গা হবে?
সত্যি বলছি কারো কথা
ভুলতে পারিনি আমি,
বিশ্বাস কর আমার কথা
সাক্ষী অন্তর্যামী!
যদিও তোমরা খুব সহজে
গিয়েছো আমায় ভুলে,
তবুও আমি ক্ষণিকের তরেও
যাইনা তোমাদের ভুলে।
কখনো আমায় সইতে হয়েছে
অনেক কথা তিরস্কার,
মনে করেছি এটাই ছিল
মোর পাওনা পুরস্কার।
যদিও কভু মোর অন্তরে
লেগেছে কিছুটা ব্যথা,
কই কেই তো শুনতে চাইলো না
আমার দুঃখের অব্যক্ত কথা।
কি লাভ হবে আর
শুনে এইসব কথা?
সব কিছুই আমার মনে
একই সূত্রে গাঁথা।

'মেঘ' তোমাকে নিয়ে লিখে চাই ..কিন্তু পারলাম না..

'মেঘ' নামে কবিতা লিখেছি
এইত কিছুদিন আগে,
মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
বেশ ভালই তো লাগে।
ক্লাসের মাঝে কবিতাটা আমি
দিলাম বন্ধুর হাতে,
কেউ আবার জানতে চাইল,
‘কি লিখেছিস ওতে?’
লেখাটুকু পড়া হলে পরে
বন্ধু আমাকে শুধায়,
‘লেখার মধ্যে কেমন যেন
দুখী লাগলো তোমায়?’
আমি বলি, ‘হঠাৎ কেন
এরূপ মনে হল তোমার?
সত্যি বলছি এখন আর
কোন দুঃখ নেই আমার’।
অতীতে আমি করেছিলাম
ভীষণ একটা ভুল,
চড়া মুল্যে আজো দিচ্ছি
সেই ভুলের মাশুল।
কি হয়েছিল যদিও তোমারা
সকলেই তা জানো,
এরপরও দু’একটা কথা
বলছি তবে শোনো।
বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে
করে ফেলেছিলাম পাপ,
বিবেককে আজ দংশন করে
সেই মহা অভিশাপ।
শুধুই বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
স্বার্থ ছিলনা কোন,
সে তো ভেবেছিল, আমি এক
প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম যেন!
মিথ্যার আড়ালে বাস করে সে
নিদারুণ স্বার্থপর,
স্বার্থের মোহে আজ সে
আপনকেই করেছে পর।
একদিন যাকে না দেখলে
কিছুই লাগতোনা ভাল,
আজ আমার তাকে দেখলেই
মুখ হয়ে যায় কালো।
বন্ধুত্বের মধুর সম্পর্ক সে
করেছে কলঙ্কিত,
বিষাক্ত ছোবলে সে করেছে
বন্ধুত্ব প্রশমিত।
ছদ্মবেশের আড়ালে সে
খুঁজে নিয়েছে স্বজন,
আমাদের মাঝে তৈরি করেছে
দূরত্ব হাজার যোজন।
কত দক্ষতায় করেছে সে
হিসাব লাভ আর ক্ষতি,
সে কি ভেবেছে তাকে ছাড়া
নাই আমাদের গতি?
সে ভেবেছে করে ফেলেছে
দারুণ বাজিমাত,
নিজের কাজে একদিন সে
হবেই কুপোকাত।
বহুদিন থেকে সে আমাকে
দিয়ে এসেছে ধোঁকা,
তখন বুঝিনি, আজ বুঝেছি
আমিএ ছিলাম বোকা।
তোরা ভেবেছিস হয়ত আমি
কিছুটা বদলে গিয়েছি,
আগেও যেমন ছিলাম আমি
এখনও তেমনি আছি!
জীবনে যখন ঘনিয়ে এল
দুঃখের কালো রাত,
তোরাই তখন বাড়িয়ে দিলি
বন্ধুত্বের সেই হাত।
বর্তমানকে সাথে করে
অতীত গিয়েছি ভুলে,
মনে করতে চাই না কিছু,
এত ভাবলে কি আর চলে?
উলটা-পালটা প্যাঁচাল পেড়ে
নষ্ট করলাম সময়,
লেখাটা পড়া হলে পরে
মারবি না তো আমায়?
আমাকে তোরা বন্ধু করে
তোদের কাছেই রাখিস,
তোরাই আমার বন্ধু ছিলি
তোরাই বন্ধু থাকিস।

মেঘ তাকেই এখন ভালবাসি তোমায় না পেয়ে...যেই মেঘ আমাকে বৃষ্টিটা ভিজাই,আমাকে কাদায়,আবার আমাকে হাসায়,কেন এত্ত ভালবাসি এই মেঘ বুজতে পর তুমি...তোমার স্পর্স যে খুজাপাই এই বৃষ্টির ফোটায় ফোটায়......

কালো মেঘ ছেয়ে গেছে
নীল আকাশটা জুড়ে,
আঁধার যেন গ্রাস করেছে
শূন্যের বুকটা ছিঁড়ে।
নিস্তব্ধ হয়েছে কেন
বিষন্ন এই পৃথিবী?
কেন আজ হারিয়েছে
তার মাধুর্য সবই?
বাতাস যেন ভুলেছে তার
অবিরাম পথ চলা,
কঠোর হাতে কে করছে
এই নিষ্ঠুর লীলাখেলা?
ক্লান্ত পথিক হেঁটে যেতে
বিমর্ষ চোখে চায়-
একটু আশার আলো যদি
কোথাও খুঁজে পায়!
থেমে গেছে কেন আজ
পাখিদের কলরব?
আকাশ কেন হয়েছে আজ
কেবলি নিশ্চুপ নীরব?
পথিক ভাবে হঠাৎ আজ
কে করলো দ্রোহ?
উত্তর না পেয়ে তার
ভেঙ্গে গিয়েছে মোহ।
নিরব রাস্তা একাকী রয়
এতটুকু নাই প্রাণ-
দেখে তাই পথিকের মন
করে ওঠে আনচান।
সূর্য্য অভিমান করে কেন
লুকিয়ে ফেলেছে মুখ?
কিসের এত ব্যথা বেদনা,
কিসের এত দুখ?
চলতে চায় না যে আর
থমকে গিয়েছে সময়,
বারবার কেন যেন
মনে পড়ছে সময়!
মনের আকাশেও আজ তাই
কালো মেঘ গেছে ছেয়ে,
শূন্য হৃদয় হাহাকার করে
শুধু তোমায় না পেয়ে...

মন বলে একবার তোময় দেখতে পাই যদি,সার্থক হবে আমার প্রেম পত্র লিখা

অবাক হবার মতই ব্যাপার
ছিলাম মোরা অচেনা,
কেমন করে হল মোদের
এমন জানা শোনা?
কোন এক শুভক্ষণে
পেলাম তোমার ঠিকানা,
আমার মনের তৈরি হল
তোমার জন্য আস্তানা।
বিস্ময়ের সব ঘোর কাঁটিয়ে
লিখলাম তোমায় চিঠি,
তোমার পত্র হাতে পেলেই
আবদ্ধ হয় দিঠি।
এরপর থেকে হয়েছি যে
বন্ধুত্বের বাঁধনে বন্দী,
প্রত্যেক মাসেই পত্র লিখি
চলে আপস সন্ধি!
সত্যিই বলছি তুমি আমার
মন নিয়েছ কেড়ে।
ভীষণ কষ্ট পাবো যদি
যাও আমার ছেড়ে।
মন বলে একবার তোমায়
দেখতে পাই যদি,
তোমার সাথে মিলবে কি
আমার মনে আঁকা ছবি?
অবশেষে করতে পারলাম
তোমার সাথে দেখা,
তোমার কাছে পাঁঠানো পত্র
সার্থক হয়েছে লেখা।

নির্জনতার মাঝেই আমি নিজেকেই খুঁজে পাই..

রাত্রি যখন নিঝুম হয়
নিস্তব্ধ হয় পৃথিবী,
ঘুমিয়ে পড়েছে সকল কিছু
নিশ্চুপ রয়েছে সবই।
মাঝে মাঝে নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে,
বাঁকা চাঁক উঁকি মারে
মেঘের ভেলার ফাঁকে।
বনের মধ্যে চলছে যখন
আলো আঁধারির খেলা,
আকাশজুড়ে বসেছে তখন
সহস্র তারার মেলা।
রূপালী জোছনা প্লাবিত করেছে
সুপ্ত এই প্রকৃতিকে,
তারার আলো সাজিয়ে দিয়েছে
রাতের নিস্তব্ধতাকে।
এরই সাথে যুক্ত হয়েছে
ক্ষুদ্র জোনাকীর আলো,
কে বলবে আঁধারের রূপ
লাগে বড় কালো?
নিশাচর পশুরা বেরিয়ে পড়েছে
খাবারের সন্ধানে,
নদীর পানি ফুলে উঠেছে
জোয়ারের প্লাবনে।
বাতাস যখন বয়ে চলে
বনের ভিতর দিয়ে,
বনের বৃক্ষ শামিল হয়
মর্মর ধ্বনি দিয়ে।
এরই মাঝে একাকী আমি
উদ্দেশ্যহীন হেঁটে যাই,
নির্জনতার মাঝেই আমি
নিজেকেই খুঁজে পাই।

আমি তোমার ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে হয়েছি পরিপূর্ণ,তবুও আমি পেতে চাই তোমারই ভালবাসার একটু স্পর্শ।

আমি তোমার ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে হয়েছি পরিপূর্ণ,
তুমি বিহনে এতদিন আমার হৃদয় ছিল শুধুই শুন্য!
এই শুন্য হৃদয়ের পুর্ণতায় আজ আমি হয়েছি ধন্য,
তাই তো আজ মাটির পৃথিবী যেন পেয়েছে তারুণ্য।
শুন্য হৃদয় তুমি রাঙ্গিয়ে দিলে তোমার মনের তুলি দিয়ে,
আমার হৃদয়ে তোমার ছবি একেছি স্বপ্নের আঁচড় দিয়ে!
তোমার স্পর্শ আমায় রাঙ্গিয়ে দেয় নতুন ভাবে নতুন করে,
কত অজানা স্বপ্নবাসনা এসে নিরালায় আমার হাতটি ধরে!
জানি না কি এমন জাদু আছে তোমার এই স্পর্শে,
আমার হৃদয় তোলপাড় হয়ে যায় শুধু যার পরশে!
যে সুধা আমি পান করেছি কেবল তোমায় ভালবেসে,
সারাটি জীবন রেখ আমায় তোমার সেই মায়াবী পরশে।
তোমার হৃদয়-মন্দিরে আমি করবো বাস সারাটি জীবন ধরে,
এমনি করেই তোমার মনে রেখ আমায় পরম যতন করে!
হয়ত নিষ্ঠুর বাস্তবতায় থাকতে হবে অনেক দূরে-
তোমার মনের মধ্য থেকে আমি যেন না যাই সরে!
আমার মন থেকে পারবনা আমি তোমায় দূরে রাখতে,
আমার জায়গায় তুমি হলেও কি পারতে তেমনটা করতে?
আমি অপেক্ষা করে যাব তোমার জন্য শত সহস্র বর্ষ,
তবুও আমি পেতে চাই তোমারই ভালবাসার একটু স্পর্শ।

আমি তোমার ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে হয়েছি পরিপূর্ণ,তবুও আমি পেতে চাই তোমারই ভালবাসার একটু স্পর্শ।

আমি তোমার ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে হয়েছি পরিপূর্ণ,
তুমি বিহনে এতদিন আমার হৃদয় ছিল শুধুই শুন্য!
এই শুন্য হৃদয়ের পুর্ণতায় আজ আমি হয়েছি ধন্য,
তাই তো আজ মাটির পৃথিবী যেন পেয়েছে তারুণ্য।
শুন্য হৃদয় তুমি রাঙ্গিয়ে দিলে তোমার মনের তুলি দিয়ে,
আমার হৃদয়ে তোমার ছবি একেছি স্বপ্নের আঁচড় দিয়ে!
তোমার স্পর্শ আমায় রাঙ্গিয়ে দেয় নতুন ভাবে নতুন করে,
কত অজানা স্বপ্নবাসনা এসে নিরালায় আমার হাতটি ধরে!
জানি না কি এমন জাদু আছে তোমার এই স্পর্শে,
আমার হৃদয় তোলপাড় হয়ে যায় শুধু যার পরশে!
যে সুধা আমি পান করেছি কেবল তোমায় ভালবেসে,
সারাটি জীবন রেখ আমায় তোমার সেই মায়াবী পরশে।
তোমার হৃদয়-মন্দিরে আমি করবো বাস সারাটি জীবন ধরে,
এমনি করেই তোমার মনে রেখ আমায় পরম যতন করে!
হয়ত নিষ্ঠুর বাস্তবতায় থাকতে হবে অনেক দূরে-
তোমার মনের মধ্য থেকে আমি যেন না যাই সরে!
আমার মন থেকে পারবনা আমি তোমায় দূরে রাখতে,
আমার জায়গায় তুমি হলেও কি পারতে তেমনটা করতে?
আমি অপেক্ষা করে যাব তোমার জন্য শত সহস্র বর্ষ,
তবুও আমি পেতে চাই তোমারই ভালবাসার একটু স্পর্শ।

তোমার সব অনুভুতিতে যা কভু হবেনা অবসন্ন

তোমায় যেদিন প্রথম দেখলাম,
উপলব্ধি করতে পারিনি
ভালবাসা আসলে কি!
কিন্তু এখন বুঝতে পেরেছি
আমার জীবনে তোমার
অবস্থান কতখানি!
মুখে বলেছি না জানি কতবার
তোমায় ভালবাসি-
কিন্তু যখন অতিক্রান্ত হয়ে
গিয়েছে কিছুটা সময়,
উপলব্ধি করতে পেরেছি
আসলে কতটা ভালবাসি তোমায়!
আমার প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে মিশে আছো তুমি
আমার প্রতিটি বিশ্বাসে মিশে আছো তুমি
আমার সকল অনুভুতিতে মিশে আছো তুমি
তুমি তুমি তুমি কেবলই তুমি!
জানি না কি মায়ায় জড়ালে আমায়,
আমার অনুভবে আচ্ছন্ন হয়ে আছি আমি!
প্রত্যেক নিশ্বাসে শুধু তোমাকেই খুঁজছি আমি।
আমার জীবনে মিশে আছে কিছু ব্যথা
আর কিছু পাওয়া না পাওয়ার কথা!
সব কিছু ছাড়িয়ে আমি তোমাকে পেয়েছি!
তোমাকে পেয়ে যেন আমি ফিরে পেয়েছি
আমারই সকল অনুভুতি-
এতদিন শুধু তোমারই প্রতিক্ষায়
দিয়েছিলাম যার আত্মাহুতি!
তোমাকে সপে দিয়েছি আমার মন প্রাণ,
এতদিনে পেয়েছে আমার ভালবাসা পরিত্রাণ!
আজকে আমি ভুলতে পেরেছি আমার সকল দুখ,
তোমার মাঝে আমি খুঁজে নিয়েছি সর্বনাশা সুখ!
তুমি কি উপলব্ধি করে দেখেছো কখনও
তোমাকে নিয়েই আমার সকল অনুভুতি,
আর তোমাকে ঘিরে বুনি কল্পনার মায়াজাল
নাই বা পেলাম প্রান্ত আর নাইবা পেলাম স্থিতি!
তুমি কি পারনা আমাকে করে রাখতে আচ্ছন্ন?
তোমার সব অনুভুতিতে যা কভু হবেনা অবসন্ন?