Showing posts with label প্রেমের সকল ছোট গল্প. Show all posts
Showing posts with label প্রেমের সকল ছোট গল্প. Show all posts

Sunday, October 12, 2014

"আমার চেয়ে আরোও ভালো মেয়ে পাবা"

"আমার চেয়ে আরোও ভালো মেয়ে পাবা"
বাক্যটি ফোনের অপর প্রান্ত থেকে খুব সহজভাবে কানে এল রাতুলের।
"আমি রাখছি" বলে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের লাইন কেটে দিল রাতুল।
গত কয়েকদিন ধরেই মেয়েটার সাথে রাতুলের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না। শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া। তার উপর আজ আবার মেয়েটার এই রকম একটা বাজে চাওয়া।
মেজাজটাই বিগড়ে গেল রাতুলের। সিগারেটের ধোঁয়ায় নিজের নালীটার বাতাসটাকে আবার দূষিত করতে করতে চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেল রাতুল।
এ কি শুনলো রাতুল? কার মুখ থেকে এ কথা বের হলো? যে মেয়েটি প্রতিদিন ভোরে ফোন দিয়ে জাগাত রাতুলকে, সে মেয়েটি?
যে মেয়েটি রাতুলের অসুস্থতার কথা শুনে নিজে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়ে রাতুলের খোঁজ নিত পাঁচ মিনিট পরপর, সে মেয়েটি?
যে মেয়েটি রাতুলের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য এটা ওটা কত কিছু করতে অনুরোধ করত, সে মেয়েটি?
যে মেয়েটি রাতুলের সমস্ত সুখ দুঃখের সঙ্গী হত, সে মেয়েটি?
যে মেয়েটি রাতের বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় পেয়ে রাতুলকে ফোন করতো ভয় কাটাবার জন্য, সেই মেয়েটি?
যে মেয়েটি সকালে ভার্সিটিতে পৌছে ফোন করে বলতো যে "পৌছে গেছি। তুমি নাশতা করে নাও", সেই মেয়েটি?
যে মেয়েটি রাতুলের....
মেয়েটিকে নিয়ে রাতুলের দেখা স্বপ্নগুলো আজ কেন জানি একটু অস্পষ্ট মনে হচ্ছে। ফোনে ম্যাসেজের রিং বাজলো। মেয়েটিরই ম্যাসেজ। অতি আগ্রহ নিয়ে ওপেন করলো রাতুল।
"তোমাকে সবসময় যোগ্য আর প্রতিষ্ঠিত হতে বলি ভাল মেয়ে পাওয়ার জন্য। নজর এত নিচু কেন? বুয়েট পড়ুয়া মেয়েকে বৌ করবে। নৃবিজ্ঞান কোন বিষয় হল?"
ম্যাসেজটি পড়ার পর কি করবে ভেবে পাচ্ছে না রাতুল। যে মেয়েটিকে না দেখে ভালবাসতে শুরু করেছিল, যে মেয়েটিকে দেখার পর ভালবাসাটা আরোও তীব্র হয়েছিল, যে মেয়েটির জন্য রাতুল তার পঁচা লাইফস্টাইল চেইন্জ করে ফেলেছিল, আজ সেই মেয়েটিই তাকে....
অনেকটা অভিমানের সুরেই ম্যাসেজের রিপ্লাই করলো রাতুল, "কোনো কথা বলবে না, একদম চুপ।"
"আজ তো শুক্রবার, যাবে না বিকেলে পাংকু সাজ দিয়ে বাইরে?"
আবার ম্যাসেজ মেয়েটির।
এমনিতেই মেজাজটা খারাপ হয়ে আছে রাতুলের। তার উপর আবার মেয়েটির ফান! নিজেকে নিজের কাছেই কেমন জানি লাগছে রাতুলের।
"আমাকে মেরে ফেলতে পারবে?" রাতুল রিপ্লাই করলো।
জবাব এল, 'না, পারবো না'
ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিল রাতুল। পরক্ষণেই আবার ব্যাটারী আর খোলস তুলে নিয়ে আসলো। হয়ত এই ফোনটা দিয়েই আবার ইমুর মায়াভরা কণ্ঠটি শুনে নিজেকে সুখের সাগরে......

Saturday, March 23, 2013

"না বলা ভালবাসা" (ছোট গল্প)



প্রতিদিনের মত আজও ছেলেটি এপ্রন হাতে বাস- স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে বাস এর জন্য ওয়েট করছে।

লিজা আজও তাকে দেখল।

সে মেডিকেল এর স্টুডেন্টদেরকে দুই চোখে দেখতে পারেনা।কেননা, সে নিজে মেডিকেল এ চান্স পায়নি।

কিন্তু এই ছেলেটাকে একটু অন্য রকম লাগে তার।

অন্যান্য মেডিকেল এর স্টুডেন্টদের কে দেখলে তার মাঝে যেমন বিরক্তি আসে এই ছেলেটিকে দেখলে তেমন বিরক্তি আসে না।

বরং এই ছেলেটিকে দেখার জন্যই লিজা প্রতিদিন একই বাস স্ট্যান্ড এ আসে।

অন্য কোন পথ দিয়ে যাতায়াত না করে এই পথ দিয়েই আসে সে।

লিজা মেয়েটা একটু অন্যরকম ছিল।

অন্যরকম বলতে, সে এমন ভাব করে যেন প্রেম-ভালবাসার ধারে কাছে সে নেই।

কিন্তু

মনে মনে সে এক ধাপ এগিয়ে।

বাস স্ট্যান্ড এর ওই ছেলেটার নাম ছিল রনি।

রনিও লিজা কে চুপচাপ লক্ষ করত।
মাঝে মাঝেই তাদের একে অপরের সাথে চোখাচোখি হত।
বাস এ রনি যখন দেখত লিজা দাড়িয়ে আছে আর সে বসে আছে তখন নিজের সিটটাও ছেড়ে দিত।

কিন্তু তারা কখনও একে অপরের সাথে কথা বলেনি।

এমনকি তারা একে অপরের নামটাও জানতোনা।

লিজা প্রতিদিনই হাজারও বুদ্ধি বের করত রনির সাথে কথা বলার কিন্তু কাজের সময় আর বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে পারতোনা।

প্রতিদিনের মত আজও লিজা চিন্তা করতে লাগল ব্যাপারটি নিয়ে।

যেহেতু লিজা একটু
চাপা স্বভাবের , তাই
সে এই ব্যাপারে কারও কাছে পরামর্শও চায়নি।

দুদিন বাদেই ১৪ই ফেব্রুয়ারী।

সে ঠিক করল ওই দিনই ছেলেটিকে সব বলবে ও।

যেই লিজা জীবনে কখনও ফুল কেনেনি, সে-ই ১৪ই ফেব্রুয়ারী সকালে নিজে ফুল কিনতে গেল।

নিজের পছন্দের ফুল হাতে নিয়ে সে বাস স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে আছে ছেলেটির অপেক্ষায়...

বেশিরভাগ সময় বাস স্ট্যান্ড এ ছেলেটিকেই আগে আসতে দেখা যেত।

আগে দেখা না গেলেও ১০-২০ মিনিটের মধ্যে চলে আসত।

কিন্তু আজ ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পরেও ছেলেটির কোন খবর
নেই।

আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল লিজা।

কিন্তু এর পরেও ছেলেটির কোন দেখা নেই।

নিজেকে খুব বোকা মনে হল লিজার।

মনে মনে ভাবল...
"ছেলেটির হয়তো প্রেমিকা আছে। না, হয়তো কেন হবে।

অবশ্যই আছে।

মেডিকেল এ পড়ে, দুই দিন বাদে ডাক্তার হবে।

দেখতেও তো খারাপ নয়।

প্রেমিকা থাকবেনা কেন??
১৪ই ফেব্রুয়ারীতে প্রেমিকাকে ছেড়ে সে এই বাস স্ট্যান্ড এইবা আসবে কেন???"

ওই দিন লিজা চলে গেল। ঠিক করল আর কোন দিন ওই বাস স্ট্যান্ড এই যাবেনা।

না সে আর যায়নি... গেলেও অনিচ্ছাকৃত ভাবে।

তবে যখনই সে ওই বাস স্ট্যান্ড পার হয়েছে তখনই বাসের অপেক্ষায়
দাড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেছে।

কিন্তু রনি কে দেখেনি...

কিছুদিন পর লিজার বিয়ে ঠিক হল।

বিয়েটি ঠিক করল লিজার মা।

লিজা কোন আপত্তি করে নি।

যদিও সে রনি কে ভুলতে পারেনি।

বিয়ের পর কিছুদিন ভালই কাটল।

তারপর একদিন লিজা তার বরের ঘরে একটি ছবি খুজে পেল।

ছবিতি দেখে আঁতকে উঠল লিজা।

এটি সেই ছেলের ছবি।

লিজা তার বরের কাছে জানতে চায়...

"ছেলেটি কে?? "

জবাবে তিনি জানান...

"ছেলেটির নাম রনি।

মেডিকেল এ পড়ত।।

বছর ২ আগে ১৪ই
ফেব্রুয়ারী তে সে রোড এক্সিডেন্ট এ মারা যায়।

মারা যাওয়ার সময় তার হাতে ফুল ছিল আর ছিল একটি চিঠি...

তার সাথে নাকি প্রতিদিন এক মেয়ের দেখা হত বাস
স্ট্যান্ড এ।

সে তাকে Propose করার জন্যই ওই দিন বাস স্ট্যান্ড এ যাচ্ছিল।

দুঃখের বিষয় সে মেয়েটির নাম বলতে পারেনি।

কোন ঠিকানাও দিতে পারেনি...

সবটা পড়ার পর আপনার অনুভূতি জানাবেন না জানালে মনে করব আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তাই সব পড়েন নি।দুঃখ টা নিজের বুকেই চেপে রাখবো।

একটু ভিন্ন রকম ভালবাসা ( ছোট গল্প)



আবির, শোন তোর সাথে কিছু কথা ছিল, রিপার পিছু ডাক। আবির থামলো, কি বলবি তাড়াতাড়ি বল, আমার কাজ আছে, মাঠে যেতে হবে ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে, যা বলার তাড়াতাড়ি বল। রিপা, মনে হচ্ছে তুই অনেক ব্যস্ত, যা মাঠে যা বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দে, না আমার কিছুই বলার নেই।
রিপার মন খারপ আবির কে কি যেন বলতে গিয়েও থেমে গেলো তাই।আবির ও রিপা একই ফ্লাটের দুজন, একই কলেজের ছাত্র ছাত্রী । দুজন দুজনের বাসাতে যায় আড্ডা দেয় । পড়াশুনা থেকে শুরু করে কোচিং সব একই সাথে করে। ওরা দুজন দুজনের ভাল বন্ধু। ছোট বেলা থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত ওদের মাঝে গড়ে উঠেছে ভাল এক সম্পর্ক যা বন্ধুত্বের চেয়ে একটু বেশী। রিপার অনেক ভাললাগতে থাকে আবির কে, আবিরের ও একটু একটু , আর এই ভাল লাগা থেকেই ভালবাসার জন্ম রিপার হৃদয়ে। অনেক দিন যাবৎ বলবে বলবে ভাবছে রিপার সেই ভালবাসার কথা, কিন্তু ভয়ে ভয়ে আর বলা হয়ে উঠেনা।
আবির ও কিছুটা বুঝতে পারে রিপার যে ওকে ভাল লাগে, কিন্তু আবির থাকে চুপ চাপ কিছুই যেন বুঝেনা, আবিরের হৃদয় কেন যেন প্রেম ভালবাসার প্রতি অনিহা, সমাজের দেখা এই প্রেম ভালবাসা ওকে যেন অনেক ভাবায়। আবির সমাজের প্রচলিত প্রেম ভালবাসায় মেটেও বিশ্বাসীনা । তার পরেও কেন যেন এক গভীর টান রিপার জন্য, রিপারকে যেকোন ব্যাপারে আবির সাহায্য করে, রিপার দুঃখ কষ্ট হাসি আনন্দ সব ভাগাভাগি করে নেই। এমন এক সম্পর্ক গড়ে উঠে যা সঙ্গায়িত করার ভাষা আবির খুজে পায়না।

একদিন,
আবির ও রিপা পার্কে বসে গল্প করছে, হঠাৎ রিপা আবির আমি তোকে ভালবাসি, আমার হৃদয়ে শুধু তুই, তোকে ছাড়া আমি বাচবোনা, তুই আমার জান প্রান সব। বল তুই আমাকে ভালবাসিছ কি না? আবির চুপ একদম চুপ হয়ে গেল। কিছুই মুখ দিয়ে বের হলো না, আবির রিপাকে বললো রিপা আমার মাথা ব্যাথা করছে আমি এখন কিছু বলতে পারছিনা, আমি এখন যাবো। সেই রাতে আবিরের ঘুম নেই কাল কি বলবে রিপাকে আবির কিছুই ভাবতে পারছেনা। আবির শুধু ভাবে এই ভালবাসা আমাকে এবং রিপাকে অনেক কষ্ট দিবে । আর তখন ওরা দুজন অনেক কষ্ট পাবে আর তখন কার সেই কষ্ট ওরা কেউ সহ্য করতে পারবেনা।
তাই পরদিন আবির রিপাকে বলে , দেখ রিপা আমি তো অনেক ভালবাসি অনেক , আমরা দুজন বন্ধু সারা জীবন বন্ধু হয়েই থাকতে চাই, আর তুই যে প্রেম ভালবাসার কথা বলেছিস ওটা আমি পারবো না,
তুই আমার বন্ধু আমার দুজন বন্ধু হয়েই থাকতে চাই। বন্ধু তোকে আমি অনেক ভালবাসি বলেই ফিরিয়ে দিলাম এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে দুজন।

ভালবাসার ছোট গল্প

ছেলেটি মোটরবাইকে করে বান্ধবীকে নিয়ে পাহাড়ী রাস্তায় ঘুরতে বেড়িয়েছে। পাহাড় বেয়ে ঢালূ রাস্তায় নামার সময় ছেলেটি মেয়েটিকে বলছে
ছেলেটিঃ তোমার কেমন লাগছে ?
মেয়েটিঃ খুবই ভালো। এতো মজা করে কখনও ঘুরি নাই।
ছেলেটিঃ আমার হেলমেট তুমি পরে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে?
মেয়েটিঃ হ্যাঁ।
ছেলেটিঃ আমাকে আর একটু জড়িয়ে ধরবে ?
মেয়েটিঃ হ্যাঁ।

একটু পর ........................
এক্সিডেন্টে ছেলেটি মারা যায় , মেয়েটি আহত হয়। আসলে ছেলেটি আগেই বুঝছিল মোটরবাইকের ব্রেক কাজ করছে না।ছেলেটি তার বান্ধবীকে বিপদটা বুজতে দিতে চায় নি। ছেলেটি তার ভালবাসার মানুষটিকে নিরাপদ রাখার জন্য সব রকম চেষ্টাই করেছিল .........


[বেঁচে থাকুক সব ভালবাসা। ভালবাসা দিবসে সব বন্ধুকে ভালবাসার শুভেচ্ছা]