Showing posts with label ভালবাসার কবিতা. Show all posts
Showing posts with label ভালবাসার কবিতা. Show all posts

Saturday, February 10, 2024

মন খারাপ!

যখনি শুনি তোমার মন খারাপ
কেমন জানি,
একটা ভয় কাজ করে হৃদয় আঙ্গিনায়,
মনে হয়,
এই বুঝি এলো কাল বৈশাখী ঝড়
সব বুঝি করে দিবে উল্টা পাল্টা,
হারাতে হবে বুঝি আমাকে সব?


আর তখনি তোমার সাথে সাথে
আমারো মনটা অনেক অনেক খারাপ হয়।


মাঝে মাঝে থমকে দাড়াতে হয়
হারাতে হয় ভাবনা নামক মেঘের আড়ালে
খুজে বের করতে ইচ্ছে হয়
তোমার মন খারাপ হবার কারন।


তবে আমি যে এক নারাধম,
আমার মাঝে নেই সেই জ্ঞান,
তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করি,
জানিনা পারি কি না।


আমি কি তোমার মনটা খারাপ করে দিয়েছি?
আমিই কি তোমার মন খারাপ করে দেবার কারণ?
যদি আমি তোমার মন খারাপ করে
দেবার কারন হয়।


তবে বলি…
মন খারাপ করে থেকো না,
বন্ধুর সাথে বন্ধুর মন খারাপ করে
থাকতে নেই।
আর যদি মন খারাপ করেই থাকো
তবে বন্ধুত্বের সার্থকতা রইল কই_?

Thursday, April 11, 2013

=+=তোমাকে ভুলিনি=+=


নীর্ঘুম এই রাত,
উড়ছে স্মৃতির জোনাকি।
আজো তোমাকে ভুলিনি বন্ধু
জানোকি,,,,তুমি জানোকি?

কখনোকি ভেবেছো,,,,
বদলে যাবে চীর চেনা পথ?
নীরবে,আঁধারে আমার মন কাঁদে,
মেয়ে কাঁদো কি,তুমি কাঁদো কি ?

লুকালো মঙ্গল দ্বীপ,
কালো মেঘের আড়ালে।
আমি জানিনা তুমি কেমন করে,
আমার সীমানা হারালে।

যে ফুলে আসেনি ভ্রমর,
তার কান্না কি কেউ শুনেছে?
তুমি আসনি তাই এই দু`টি চোখ,
অশ্রুতে ভেসেছে,শুধু কেঁদেছে।

স্মৃতিতেই তুমি রয়ে গেছ,
জানি করবেনা আর স্বপ্নের খেয়া পার।
মেয়ে আজো ভুলিনি তুমাকে,
এ জীবনে হয়তো ভুলা হবেনা আর।

***ভবসাগর***

আমার মন শত জনম ধরে
এই সৈকতে রয়েছে পরে।
আমি এক খন্ড পাথর সমান
আমার ঢেউ-গুনা দিনের হয়না অবসান।

দেখেছি রঙ্গীন পালের তরী
ক্ষণিকেই গিয়েছে দেশ ছাড়ি।
আমার তরী ভাঙ্গা যে ভাই
কোন আশায় সে তরী জলে ভাসাই।

নিঃস্ব হয়ে এসেছিলাম ধরার বুকে,
শুধু অথই জল আজো দু`চোখে।
এমন ঘোমরে মরে সুখের নেশায়,
আমি রয়েছি বেঁচে আজও সুখের আশায়।

এতটা বছর ধরে আধারে রয়েছি,
আধারে শুধু অশ্রুই পেয়েছি।
আমি রঙ্গীন-ডানার প্রজাপতি দেখতে চাই,
আমি যে আলোর ভূবনে নিজেকে রাখতে চাই।

কূলের খোজে শত জনম ধরে,
ভাঙ্গা তরী আমার ভাসছে ভবসাগরে।
সুখের আশায় অবুঝ মন লইয়া,
কাঁদি ঢেউয়ের পানে চাইয়!।

Saturday, March 23, 2013

একটু উষ্ণতার জন্য ।



কটু উষ্ণতার জন্য
কত শত দিনের অপেক্ষা
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রখন,
এতোটুকু স্পর্শে
তুমি এতোটা জ্বলে উঠবে
তা সত্যিই আমার বোধগম্য ছিল না।


সে যেন এক উত্তাল তরঙ্গ,
এদিক থেকে ওদিকে ভেসে বেড়ানো
তরঙ্গের সেই অভিনব রুপ
আমায় যেন অন্ধ করে দিয়েছে।
উত্তাল তরঙ্গ যখন আরো বেশী উত্তাল
তখন আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি,
এই মাতাল কে আরো বেশী মাতাল
করেছিল তোমার স্পর্শ।

তুমি যে অবর্ননীয় ছিলে
তাতে কোন সন্দেহ ছিলনা,
তারপরেও তোমাকে এতোটা
কাছ থেকে না দেখলে
তোমাকে আবিষ্কার করা
এতোটা সহজ হতো না।

তুমি সুন্দর, তুমি ভয়ংকর
তুমি ধনুকের তীর।
তুমি অগ্নি, তুমি অগ্নি মশাল
চাইলেই আমায় জ্বালিয়ে দিতে পারে।

আজব দুনিয়া।

এ এক আজব দুনিয়া
বড্ড আজব মনে হয় মাঝে মাঝে।
এখনে মেঘের ঘনঘটা ছাড়াই বৃষ্টির দেখা মেলে
এখানে গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্তের কোন ভেদাভেদ নেই
এখানে কখনো শীতের হিম সকাল আবার
কখনো বসন্তের কোকিল ডাকা ভোর।


এখানে,
এদিকে ওদিকে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পথ
এ পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও
গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না।
তারপরেও , সকাল সন্ধা এ পথেই হাঁটছে মানুষ,
বড্ড আজব এ দুনিয়া আজব এ দুনিয়ার মানুষ।


এখানের আকাশে তারা জ্বলে না
এখানে জোসনা বলে কিছু নেই
এখানে অমাবশ্যা আর পূর্নিমা যেন সমার্থক শব্দ।
এখানে চব্বিশ ঘণ্টাই দিন আবার চব্বিশ ঘণ্টাই রাত
আজব এই দুনিয়া বেহুঁশ এই দুনিয়ার মানুষ।

যেদিন


যেদিন আমার
জীবন নামাক কলমের কালি হয়ে যাবে শেষ
বাড়ীতে পরিবে কান্নার রোল,
আত্নীয় স্বজন পাইবে খবর
আসিবে দেখিতে আমায়।
মা আমার কাঁদিবে সেদিন
বলে হায় হায়।


সেদিন,
কেউ আনিবে কাফনের কাপড়
কেউ গরম করিবে জল.
কেউ কাঁটিবে ঝাড়ের বাঁশ
কেউ আসিয়া খুঁজিবে আমার লাশ।
কেউ খুড়িবে কবর,
মা আমার সেদিন
কান্নার থাকিবে বিভোর।


গোসল দিয়ে সাদা কাপড়ে জড়াবে
কাঠের পালকি সাজাবে
প্রার্থনা শেষে কাঁধে তুলিবে লাশ
সবাই জানাবে আমায় বিদায়,
মা আমার কাঁদিবে সেদিন
বলে হায় হায়।

গত রাতে

গত রাতে আমি ঘুমাইনি
বসে বসে দেখিছি চাঁদের হাসি
তাঁরাদের মেলা,
বসেই ছিলাম জানালার পাশে
একটুও ঘুমাইনি।
আমি শুনেছি পুরানো দিনের গান
হারিয়ে গিয়েছিলাম গানের মাঝে
মনে হচ্ছিল,
কোন পরিচিত একজন
আমায় গান শুনাচ্ছে।
তবে কে সে?
এখনো জানা হয়নি।
গত রাতে আমার একটু ঘুম হয়নি।

গত রাতে,
মনের ডানা মেলে উড়েছি
দেশ হতে দেশান্তর,
তবে কোথাও কারো দেখা পাইনি।
পরিশেষে আমি শূন্য হাতেই ফিরেছি।
আমি জেগে ছিলাম
গত রাত, তার আগের রাত
তারও আগের রাত
তবে তা কাউকে বলা হয়নি।
গত রাতে আমি একটুও ঘুমাইনি।

তোমার প্রতীক্ষায়…


তোমার প্রতীক্ষ্যায়...

আজ সমুদ্র সৈকতে বসেছিলাম
তোমাকে দেখার প্রতীক্ষায়,
ভেবেছিলাম তুমি আসবে
সাগরের কুল ঘেষে ঢেউরের সাথে মিশে
ভিজাবে আমার তোমার ভালবাসার জলে।
কিন্তু তুমি আসোনি,
প্রত্যাশা আমার প্রত্যাশা ই রয়ে গেছে
তোমার দেখা মিলেনে।


ভেবে ছিলাম পড়ন্ত বিকেলে
গোধূলির রঙ্গে তোমায় পাবে।
আজ সব নীল ছিল, তোমায় দেখিনি,
প্রত্যাশা আমার প্রত্যাশাই রয়ে গেছে
বাস্তব আর হয়নি।


ভেবে ছিলাম সন্ধ্যা তারাদের মাঝে তোমায় খুঁজে পাবো
দেখবো তোমার হাস্য উজ্জ্বল মায়াবী মুখ,
তুমি এসেছিলে ঠিকই, কিন্তু হাসোনি।
ভাবনা আমার ভাবনাই রয়ে গেছে।
বাস্তব আর হয়নি।

ছায়া তুমি…

একা একা হেটে চলেছি
হাটছি তো হাটছিই,
নিঃসঙ্গ এই পথ চলা।

আমার এই পথ চলায় হঠাৎ
রোদের আলো।
মনে হচ্ছে,
কে জানি হাটছে আমার পিছু পিছু
ও যে ছায়া আমার।

আজ আমি নির্ভিক
ও হেটে চলছে আমার
হাতে রেখে হাত ।

প্রভাত শেষে রোদলা দুপুরেও
আমি অনুভব করছি ওকে
দিনের শেষে রাতের আগমনে
ও কি থাকবে আমার হাতে রেখে হাত?

তুমি

তুমি শব্দের ব্যবহার
আমি জানতাম না
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো
তুমি করে বলতে।
লজ্জা হতো কাউকে
তুমি বলে সম্ভোধনে।
তুমি শুধুই তুমি
আমায় শিখিয়েছো সব।

আমার হাসি আমার কথা
কারো ভাল লাগতো না
তুমিই বলেছিলে
আমার হাসি আমার কথা
তোমার ভাললাগে,
সেই তুমি আজ কোথায়?
কোথায় হারিয়ে গেলে
কোথায় লুকালো তোমার ভাল লাগা?

আমি জানতাম না এই হাসি
তোমার কাছে হবে
রোদ আর মেঘের খেলা।
অন্য কারে হাসির কাছে
হার মানবে আমার হাসি
তাহলে আমি হাসতাম না ।
তবে তোমার হাসি
চিরদিন আমার কাছে মিষ্টি ছিল
আছে থাকবে।

তোমরা যাকে…

তোমরা যাকে “ভালবাসা” বলো
আমি বলি দুঃখের পাহাড়।
তোমরা যাকে “বন্ধুত্ব” বলো
আমি বলি অর্থহীন কোন শব্দ।
তোমরা যাকে “চাওয়া-পাওয়া” বলো
আমি বলি অরন্য রোদন।
তোমরা যাকে “সুখ” বলো
আমি বলি অপেক্ষার প্রহর।
তোমরা যাকে “কষ্ট” বলো
আমি বলি সঙ্গী আমার।
তোমরা যাকে “মন” বলো
আমি বলি কষ্ট বাহক।

তোমায় দেখবো বলে

অনেক দিনের ইচ্ছে চাঁদের মুখ দেখবো।
শুনেছি চাঁদের মায়াবী মুখ নাকি
আকাশ কে করে উজ্জ্বল।
তাই অনেক ইচ্ছে নিয়ে
প্রতীক্ষার প্রহর গুণে সেদিন
গিয়েছিলাম কোন এক মাঠে
চাঁদ তোমাকে দেখবো বলে।

ইচ্ছে ছিল তোমার কাছে বলবো
না বলা কিছু কথা,
তুমি শিখাবে আমার তোমার হাসির রহস্য।
কিন্তু সেই সৌভাগ্য আমার হলো না
আমি যেদিন তোমার দেখতে গিয়েছিলাম
সেদিন যে ছিল অমাবশ্যার রাত
আর তাইতো সেদিন তুমি ছিলেনা
ছিল আঁধারে ঘেরা এই আকাশ।

তবে আজ দেখতে পারিনা
কাল দেখবো,
তবুও চাঁদ আমি তোমায় দেখবো।
তোমাকে বলবো মনের না বলা কিছু কথা।

ওরা যেন …

ওরা যেন ঊষার আলো
ভোর সকালে দেখা মিলে
ঘন্টা দুয়েক পরেই উধাও।


ওরা যেন মানব ছায়া
রোদলা দুপরে দেখা মিলে
সন্ধা ঘনিয়ে এলেই উধাও।


ওরা যেন মেঘের আড়ালে
ঢাকা পড়া চাঁদ
কখনো কখনো উঁকি দেয়
ক্ষানিক বাদেই উধাও।


ওরা যেন অদৃশ্য মানাবী
ওদের দেখা যায় না,
মিশে থাকে স্মৃতির পাতায়
আর মাঝে মাঝেই কাঁদায়।


ওরা যেন কাল বৈশাখী ঝড়
চৈতের শেষই এসেই
সব কিছু তছনছ করে দিয়ে যায়।

আমি ও আমার সুখ

সেদিন প্রভাত ফেরীতে তোমার সাথে দেখা
সেদিন দেখেছিলাম তোমার হাসি মাখা মুখ।
শুনেছিলাম তোমার কথার গাঁথুনী।
তারপর অনেকটা পথ তোমার সাথে হাঁটলাম
ঘুরলাম, কথা বললাম ঘন্টার পর ঘন্টা।


এখন তোমাকে দেখিনা আগের অবয়বে
যেন শূণ্যতা ঘিরেছে তোমায়,
এখন তোমার মুখে আর হাসি ফুটেনা।
বিষন্ন লাগে তোমায় সারাটি ক্ষণ।


আজ সেদিনের কথা ভেবে
অশ্রু সিক্ত আখি,
এখন তুমি আর প্রভাভ ফেরীতে আসোনা
আমিও এখন আজ যাই না প্রভাত ফেরীতে।


আজ যেন সব কিছু এলোমেলো মনে হয়
যেন কিছুই আগের মতো নেই,
এখন আর কারো উপর রাগ অভিমান হয়না,
এখন যেন ভাল লাগা বলতে কিছুই নেই।


সুখেন নিশান উড়ে ছিল হৃদয় আকাশে
সে সময় দিনগুলো ভাল কেটে ছিল।
আমার আকাশে সুখের পতাকা শোভা পায়না
তাই তো সেদিন প্রবল বাতাসে
ছিড়ে গেছে সেই সুখের নিশানটি।

তুমি পাশে নেই বলে

এখন অনেক রাত,
কোথাও কেউ জেগে নেই
আখি যুগলে নেই ঘুমের ছায়া,
ঘুম যেন অভিমান করেছে
আজ আর দেখা মিলবে না,
র্নিঘুমে কেটে যাবে সারাটি রাত।
কারন শুধু একটাই,
আজ তুমি পাশে নেই।


তাই বসে পরলাম, ডায়েরীটা নিয়ে
তোমাকে নিয়ে লিখবো কবিতা
গান আর ছন্দের কল্পকথা।
কলমটা একটুও কালি দিচ্ছেনা আমায়,
ও যেন আজ রেগে আছে ।
কারন শুধু একটাই
তুমি পাশে নেই বলে।


দক্ষিনের জানালা খুলে দিয়েছি
দেখবো চাঁদের মায়বী মুখ।
চাঁদটা যেন বারবার
তোমার রুপের কাছে হার মানছে
আর লজ্জায় লুকাচ্ছে মেঘের আড়ালে।
এ দৃশ্য দেখে,
আমার হৃদয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে
তবে এই জোয়ারের কোনই মূল্য নেই।
কারন শুধু একটাই
আজ তুমি পাশে নেই।