Showing posts with label প্রেমের সকল কবিতা. Show all posts
Showing posts with label প্রেমের সকল কবিতা. Show all posts

Friday, March 22, 2013

তোমার কাছে এসে.....

যখন তুমি টেনে নিয়েছ তোমার বাহুবন্ধনে-
তুমি মিশে ছিলে আমার প্রতি হৃৎস্পন্দনে!
কিছুদিন আগেও আমি পাইনি যার সাড়া,
আজকে তাই নাড়া দিল আমার মনের কড়া!
বিধ্বস্ত মনের আস্তাকুড়ে যা ছিলো চাপা পড়ে,
তোমার ভালবাসায় আজ তা যেন পেয়েছে জীবন,
আর তাই ক্ষণে ক্ষণে অনুভুতিতে উঠছে নড়ে!
তোমার বিহনে প্রতিপলে কেন সইছি এই মরণ?
এরই নাম যদি ভালবাসা হয় তবে কেন এই দহন?
কি অদ্ভুত এই ভালবাসা আর কি অদ্ভুত এ উপলব্ধি,
যার কাছে পরাজিত হয়েছি আমি, স্তন্ধ হয়েছে সব বুদ্ধি!
সর্বনাশা এই ভালবাসায় যে ছিল এত সুখ-
আজ আমি তা জেনে গিয়েছি,
আর কখনও তোমাকে করবোনা বিমুখ।
ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়ে আমি
দিয়েছি যখন ধরা-
পরওয়া করি না দুঃখ যাতনা,
ক্ষোভ, হতাশা কিংবা জীর্ণজরা!
এতিদিন শুধু উপলব্ধিতেই ছিল যে ভালবাসা,
বাস্তবে তার দেখা পেয়ে মিটেছে মনের আশা।
এটা কি ভালবাসার উপলব্ধি নাকি উপলব্ধির ভালবাসা?
কেন দূরে চলে গেলে, বাড়িয়ে দিলে মনের হতাশা?
শত বাঁধা পেরিয়ে তুমি-
আমার হৃদয় যখন করেছ দখল,
তোমাকে জড়িয়ে রাখবো আমি,
দিয়ে আমার ভালবাসা সকল।
আমাদের জীবনে এটাই বয়ে আনুক সুখ সমৃদ্ধি-
এইত আমাদের ভালবাসা আর এইত তার উপলব্ধি

কেমন করা দেকবো তোমায়..তুমি কোথায়

প্রতিনিয়ত আমি তোমাকেই শুধু খুঁজে বেড়াই,
মাঠে, ঘাটে, ঘরে, বাইরে, আকাশে, বাতাসে-
কিন্তু কোথায় তুমি? আমি যে দেখি না তোমায়,
ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে আসি আমি একা হতাসে!
তবুও আমার বিরাম নেই! নেই একটুও স্বস্তি-
নির্জনে কিংবা লোকালয়ে আমি তোমাকে খুঁজি।
অপেক্ষায় থাকি আমি এই বুঝি তোমায় দেখি,
তথাপিও শেষ হয় না আমার আশার পুঁজি!
বাতাসে যেন মিশে আছে তোমার কোমল স্পর্শ
প্রতিমুহুর্তে আমি যেন পাচ্ছি তারই ছোঁওয়া।
পিছন ফিরে যখন দেখতে চাইলাম তোমাকে-
দেখলাম তুমি নেই! সব হয়ে গেল ধোঁয়া!
ক্ষণিকের তরে এসে তুমি কেন দিলে ধরা?
কেন তুমি থাকলে না আর অল্প কিছু সময়?
তুমি আমাকে একা ফেলে ফিরে চলে গেলে,
একাকী জীবনে নেমে এল ফের আঁধার প্রলয়!
তোমাকে বিদায় দেবার কালে আমি একটি বার
পিছন ফিরে দেখব তোমায়, মনে ছিল ভয়!
এর পরেও মনে মনে জাগিয়ে রেখেছি আশা,
হয়ত আবার দেখতে পাব আমি তোমায়।

প্রিয় সেই সময়গুলি..

অনেকগুলো দিন গিয়েছে চলে
অনেকটা সময় হয়েছে অতিক্রান্ত,
লাভ-লোকসানের হিসাব করে
আজ আমি বড়ই পরিশ্রান্ত!
কি হবে এই হিসেব মিলিয়ে?
কি হবে আর অঙ্ক কষে?
গুন, ভাগ আর যোগ করে
মিললো না কিছুই অবশেষে!
অতীতের পানে চেয়ে দেখি
সবকিছুই আজ স্মৃতি।
ভবিষ্যতের পানে চেয়েও তো
পেলাম না আশার জ্যোতি!
শৈশবের সেই বন্ধুদের আআর
পাই না তো খুঁজে আমি,
এখন বুঝি বাল্যবন্ধুরা ছিল
আমার কাছে কত দামী।
স্কুল প্রাঙ্গনে ছোটবেলা সবে
খেলাধূলা করেছি কত
তাই দেখে বলতো সবাই
‘এরা চঞ্চল কেন এত?’
মনে পড়ে যায় শৈশবের কথা
হাসি আনন্দের দিনগুলি-
চোখের নিমিষে হারিয়ে গেল
প্রিয় সেই সময়গুলি!

তার কথা আজ পরছে খুব মনা...সে যে আমার প্রিয় প্রিয়তমা...

তার কথা আজ
পড়ছে খুবই মনে,
যতন করে যাকে রেখেছি
এই হৃদয়ের কোনে।
শৈশবের সেই বন্ধুকে
কখনও ভুলিনি আমি,
কত ভালবাসি তাকে
যানে অন্তর্যামি!
আমরা একসাথে তখন
খেলা করেছি শত,
খেলাচ্ছলে একটু-আধটু
ঝগড়াও হত কত!
কালচক্রে সেইসব দিন
কবেই হারিয়ে গেছে-
স্মৃতির পাতায় আজও তা
সযতনে লেখা আছে।
মনের ভিতর তোমাকে আমি
একাকী খুঁজে বেড়াই,
ভয় হয় আবার যদি
বেঘোরে তমায় হারাই।
তোমার কি মনে পড়ে
স্বপ্নময় সেইসব দিন?
তুমি আমার মনের মাঝে
আজও আছ অমলিন।
চলে যাবার সময় যখন
দেখা করতে এলে-
তুমি আমার বলেছিলে
যেওনা আমায় ভুলে।
হাজার বছর পার হলেও
কিভাবে তোমাকে ভুলি?
তোমার কত ছবি এঁকেছে
আমার স্বপ্নের রংতুলি!
বহুদুরে চলে গেলেও
যেখানেই থাকি আমি,
ছায়া হয়ে আমার সাথে
সেখানেই আছ তুমি।
হয়ত একদিন আবার
আমাদের দেখা হবে,
আমি জানি তুমি আসবে
অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে

অতুলনীয় তুমি

তোমার চেয়ে কোন কিছুই বেশী দামী নয় ভাই-
তোমার সাথে কেউ তুলনীয় নয় যে তাই!
তুমি একই রকম আছো, আমাদের হৃদয়ে সর্বদা.
কোন ভাষা দিয়েই বর্ণিতে পারিনা তোমার কথা।
যখন তুমি জড়িয়ে ধর আমায় তোমার আলিঙ্গনে,
সেইসব কথা মিশে আছে মনের স্মৃতির প্রাঙ্গনে।
আমাদের সাথে তুমি নাই ভাবতেই পারি না এ কথা,
তোমার ভাস্বর স্মৃতি নিয়ে বুকে জমে আছে কত ব্যথা।
আমার জীবনে তুমি হয়ে আছ অমূল্য যে সম্পদ-
তোমার মুখের দিকে তাকায়ে লড়তে পারি সব বিপদ।
অতুলনীয় তুমি, সকলের চাইতে অসাধারণ সুনিশ্চয়,
হতেই হবে! আমার ভাই যে! তাইতো সকলে কয়।

Thursday, March 21, 2013

এটাই কি আমার বড় ভুল, তোমাকে ভালবাসা ?

স্ম্রৃতির একটা পাতা উল্টিয়ে দেখলাম,
গৌরবময় স্বর্ণালী দিন বিগত, বুঝলাম!
তুমিই ছিলে একমাত্র আমার মানষপটে,
যাকে নানাভাবেই সাজিয়েছিলাম অকপটে!
তোমাকে তো ভালবেসেছিলাম আমি সীমাহীন,
যে ভালবাসার থাকার কথা ছিল অমলীন!
আমার দিনের সূত্রপাত হত তোমার নাম দিয়ে,
এইত আমাদের ভালবাসা, কথা হত যা নিয়ে!
ভালবাসার মাঝে হারিয়েছিলাম এমন করে,
নিজেকে ধ্বংস করেছিলাম নিজ হাতে ধরে!
তোমাকে পাবার জন্য নিজেকে করেছিলাম বিচ্ছিন্ন,
সামান্য আবেগেও নিজেকে করেছিলাম পূর্ণ আচ্ছন্ন!
আমাকে দেখতো সবে মবে সন্দেহের প্রলেপ নিয়ে,
আমি যে সেটা সহ্য করতে পারতাম না কোনভাবে!
অন্ধ ভালবাসা আমাকে পরিবার থেকে করেছিল দূর,
ভেবেছিলাম শুধু তোমাকে নিয়েই বাঁধব নতুন সুর!
আমি কি ভাবতে পেরেছিলাম এই আমূল পরিবর্তন?
আমার ভালবাসায় করতে হবে আমায় পৃষ্ঠ প্রদর্শন?
আমি সেদিন বুঝি নাই প্রেম তোমার কাছে খেলা-
আর এটাই যে আমার বড় ভুল, তোমাকে ভালবাসা।

কুমার জীবন

একজন পুরুষের জীবনে রয়ে গেছে কিছু ভাগ,
যার মধ্যে কোনটার জন্য মনে থাকে অনুরাগ!
যখন সেটা পার হয়ে যায়, মনে থাকে কষ্ট;
কভু ফেরানো যাবে না সেটা, তা তো সুস্পষ্ট!
মাত্র একবারই জীবনে আসে সেই সুবর্ণ সময়,
কুমার জীবনই সেটা, যদি কেউ তার নাগাল পায়!
এটা সেই জীবন যেথা মানুষ পায় কিছু উত্তালতা,
এটাই সেই সময় যখন সে পায় ‘না’ বলার স্বাধীনতা।
কুমার জীবন উপভোগ্য কিন্তু যে ভোগ করতে পারে,
বিয়ের পরে যা হারিয়ে যেতে পারে কিন্তু চিরতরে!
জীবনের সুবর্ণ সময়গুলো তো আসে না বারবার,
তাই চেষ্টা কর এর পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করার!
বৈবাহিক জীবনে অনেক সময় এসে যায় জটিলতা,
নিজের দিকে নজর দেবার তখন আর সময় কোথা?
অনেক ছেলেই আগে ভাগে বুঝতে পারে না এটা,
বুঝে তখনই যখন জটিল আকার ধারণ করে সেটা!
বিয়ের পরে একটা ছেলের জীবনে আসে পরিবর্তন,
কিন্তু সেটা সে বোঝে না যখন সময়ের হয় সংক্ষেপন!
নিজের আবেগ অনুভুতিগুলোর দিও না অকাল সমাধি,
মুল্যায়ন করতে শেখ কুমার জীবনের সংক্ষিপ্ত কালবিধি।

আমার চারপাশে

আমি বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি
কি হচ্ছে আমার চারপাশে,
এটা আমার জন্য সুখকর কিছু নয়
তাতে কার কি যায় আসে?
এখন আমি বসে আছি
বিশাল সাজানো একটা ঘরে,
চেয়ার, টেবিল সবই আছে-
কিন্তু আমি যে নই নিজ গৃহে!
অনেক্ষন ধরে চেষ্টা করছি
কে কি বলে সেটা শুনতে,
কিছুই লাগছে না ভাল,
কিছুই পারছি না বুঝতে!
একটা সময় আসবে এমন
যখন সব হবে আমার গিলতে,
নাহলে তো কেউ পারবেনা,
আমার পতন ঠেকাতে!
খুব বিরক্তিকর ঠেকছে আমার
আমি চলে হেতে চাই এখন,
কার কাছে লাগছে ভাল
সন্দেহ আছে বিলক্ষণ!
আমার ঘর আমাকে ডেকে চলেছে,
আসছে ঘুম চোখ জুড়ে,
কিন্তু আমি যদি চলে যাই তবে
আমার পতন হবে পাতাল ফুঁড়ে!
আমার চারপাশের বন্ধুরা সব
মনোযোগ দিয়ে শুনছে,
কিন্তু আমি তা পারছি না দেখে
আমার খুব ভয় করছে!
পড়তে আমার লাগে না ভাল
তার পরেও আমি বাধ্য,
কবে যে মুক্তি পাব আমি,
বলতে কার আছে সাধ্য?
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি আমি
আমার আশেপাশের মানুষগুলা
এরা সবাই খুব সাবধানী,
আর অসাধারণ সব পড়ুয়া!
আমার কাছে সব কিছুই এখন
লাগছে ভীষন বোঝা,
তবুও বলতে পারি না, ক্ষমা কর
আর পারিনা সইতে এ সাজা।
চেষ্টা করে যাচ্ছি জেগে থাকতে,
দেখে আর শুনে যেতে-
এখনও বুঝতে চেষ্টায় আছি
কি ঘটছে আমার চারপাশে!

পুরানো চিঠি

বাসার গেটে এসে থামলো
নীল রঙের একটা গাড়ী,
দেরী হয়নি মোটেও
আসতে তার বাড়ী!
একজন মানুষ নেলে এল
হাতে ব্যাগের বোঝা,
মাঝবয়সী মানুষ উনি,
দেখতে সরল সোজা!
ধীর পায়ে হেটে চলেন
সামনে বন্ধ দুয়ার-
নিঃশব্দে এগিয়ে যান,
লোক আসবে খোলার।
মৃদু চাপে উনি যখন
বাজিয়ে দিলেন ঘন্টা,
রহস্যময় এক ঘটনা
যা চঞ্চল করবে মনটা!
বয়স্কা এক মহিলে বলেন,
‘কে আছে ওখানে?’
লোকটা তখন বলে ওঠে,
‘মা! আমিই দাঁড়িয়ে এখানে’।
আনন্দের আতিশয্যে মা তখন
হয়ে যান বোকা,
খুশি হয়ে বলে ওঠেন,
‘আয় রে আমার খোকা!
অশ্রুসজল নয়নে মা বলে,
‘এতদিন পর এলি খোকা?
এতদিন কোথায় ছিলি তুই?
দিয়ে আমায় ধোঁকা?’
মাকে জড়িয়ে ধরে লোকটি,
কপালে দেয় চুম!
‘তোমাকে ছেড়ে মা আমার
চোখে ছিলনা ঘুম’।
‘বাবা, রিশ্রাম নে’।
মা ওঠেন বলে,
ঠিক যেন ছোট্ট পাখি
সাঝেঁ নীড়ে ফেরে।
গোসল সেরে উনি
হয়ে ওঠেন সতেজ,
সারা বাড়ীজুড়ে যেন
ফুলের সুরভী আমেজ!
এরপর উনি যখন
সেরে ওঠেন প্রার্থনা,
মা তখন নিয়ে আসেন
খাবার ভর্তি খাঞ্ছা।
মা তো বানিয়েছেন
অনেক রকম খাদ্য,
অতুলনীয় সেগুলো যে
সবকিছুই অনবদ্য!
মা বলেন, ‘২০ বছর আগের
চিঠি একটা আছে পুরান,
তুই হয়ত বুঝবি,
জানবি কার নাম’।
‘বহু বছর হয়ে গেল
যখন আমি গেলাম,
অনেক বছর পার করে
ঠিকি ফিরে এলাম’।
‘ঠিক’, মা বললেন
দিয়ে একটু হাসি।
‘চিঠি টা দাও তো,
খুলে তবে দেখি!’
হলুদ খামে মোড়া চিঠি
লেখাগুলো ঝাপ্সা-
মনে পড়ছে না কিছু
ক্লান্তিতে সব আবসা!
বালিসে হেলান দিয়ে ওটা
চেষ্টা করেন দেখা-
লেখা দেখে মনে হয় যেন
কোন কাঁচা হাতের লেখা!
ভাল করে দেখার পরেও
ঠাহর হল না কিছুই,
স্মৃতির পাতা হাতড়ে গিয়ে
হতাশ হলেন শুধুই!
এক ঝটকা আলোর মত
কি যেন এল মনে,
দুঃখে ছেয়ে গেল মুখ
চিঠির পানে চেয়ে।
কেউ তো জানে না
কি ছিল লেখা,
জানে শুধুই সে-
যে পেয়েছে দেখা।
এরপর যে কি হল
তা নেই কারো জানা,
কবিতায় যে সব কথা
বলতে আছে মানা।

নতুন নয়ত কিছু!

আজ আমার শরীর খারাপ লাগছে
মনে হচ্ছে যেন জ্বর এসেছে গায়ে,
এমনটা তো হয়নি কখন আগে;
ভাল লাগছে না কিছুই ডানে বায়ে!
সারাদিন ধরে নামলো অঝরে বৃষ্টি,
ক্ষণিকের তরেও হয়নি ক্ষান্ত,
ভেবেছিলাম একটু বাইরে বের হব
যদি মনটা একটু হত শান্ত!
ছাত্রাবাসে সারাদিন একাই অলস বসে
পৌঁছে গেলাম বিরক্তির শেষ সীমায়,
আমি এখান থেকে মুক্তি পেতে চাই,
সেই পথ কে দেখাবে আমায়?
এরুপ বৃষ্টিভেজা দিনের কথা
মনে পড়ে যায় ক্ষনে ক্ষনে,
ঘরের কথা মনে পড়ে যায় যেথা
ঢলে পড়তাম ঘুমের ঘোরে!
আর মনে পড়ে কিছু সুস্বাদু খাবার
যা খেতাম আমার নিজের ঘরে,
এর কিছু গল্প উপন্যাস এর বই-
যার কাহিনী আজো মনে পড়ে!
সময়ের এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে
আগের মত নেই যে আর কিছু,
অতীত-বর্তমানের মাঝে ভবিষ্যত
দেয়াল টেনে দিয়েছে পিছু পিছু!
আমার নিজেকে বড়ই অসহায় লাগে
তুমি কি বুঝতে পারছ আমার যন্ত্রনা?
দুর্ভাগ্যেরর আবরণ আমাকে জড়িয়ে নিয়ে
দিয়ে গেছে কিছু নির্মম বিড়ম্বনা!
কেই যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করে,
কেমন আছ হে বন্ধু?
দক্ষ অভিনেতার মত আমি বলে উঠি,
আগের মতই! নতুন নয়ত কিছু!

তোমার তরে হাসিমুখে

একদিন দেখেছিলাম সুন্দর এক স্বপ্ন,
নদীর তীরে আমরা বসেছিলাম মগ্ন!
যখন তুমি ধরেছিলে আমার হাত-
পুষ্পসম প্রস্ফুটিত হয়েছিল প্রভাত!
কানে কানে বলেছিলে চুপি চুপি-
মৃদু বাতাস করেনি কোন কারচুপি!
আমার হৃদয়ে লেগেছিল এক সাড়া-
তুমিই আমার অন্তরে দিয়েছিলে নাড়া!
তোমার জন্য ফুল তুলতে চাইলাম একটি,
তখন শুরু হয়ে গেল মুশল ধারে বৃষ্টি!
আমি তোমাকে বলেছিলাম, ‘এস প্রিয়তম!’
লজ্জা পেয়ে তুমি হয়েছিলে অবনত!
আমার জীবনে তুমি দিয়ে দিয়েছো দোলা
আমার জীবনে যদিও ছিল কত ঝামেলা!
তোমাকে কত ভালবাসি, এটা রেখ স্মরণ,
তোমার তরে হাসিমুখে মৃত্যু করবো বরণ।

কষ্টকে জয় করতে

আমদের এই জীবনটা খুব সংক্ষিপ্ত,
তবুও কেন একে অন্যের প্রতি ক্ষিপ্ত?
আমরা পারি একে অর্থবহ করে তুলতে,
আমার পারি সব কষ্টকে জয় করতে!
ভবিষ্যতের জন্য আছে কিছু স্বপ্ন-
সেটা যেন না হয় আঁধারে নিমগ্ন!
প্রত্যেককে দিতে হবে তাই কঠোর শ্রম,
সুন্দর পৃথিবীর জন্য না থাকুক কোন ভ্রম!
এস বন্ধু! সবে মিলে দুঃখকে জয় করি,
সকল জরা ভুলে এক সুন্দর পৃথিবী গড়ি!

তুমিই আমার ভুবন

আমাদের ভূবনে থাকবে না কোন বেদনা,
থাকবে না কোন বিরহ আর দেনা-পাওনা!
তোমাকে ছেড়ে আমি কখনও দূরে যাবোনা,
তোমার ব্যাপারে আমি পিছপাও হবোনা!
ঢেকে রাখবো তোমায় দিয়ে সব ভালবাসা,
প্রমাণ করতে পারি, তুমিই আমার আশা!
আমার জীবনে তুমি এনে দিলে পরিবর্তন,
তোমার জন্য আমার সব! এটা রেখ স্মরণ!
তোমার হৃদয়ের মাঝে আমায় দিও আসন,
তুমিই আমার ভালবাসা, তুমিই আমার ভুবন

একাকী পথচলা

চিন্তা করেও ভেবে পাইনা কি লিখবো-
মনের মধ্যে পাই না কোন আশার আলো!
একা একা হাঁটি আমাই দিনভর বারান্দায়,
পৌঁছাতে পারলাম না জীবনের কিনারায়!
যন্ত্রে রুপান্তরিত হচ্ছে আমাদের এই জীবন,
যন্ত্রের মধ্যেই বাঁচা আর যন্ত্রের মধ্যেই মরণ!
মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমার নিজের অস্তিত্ব,
খালি কামরায় যখন গুমরে মরে সব আমিত্ব!
যন্ত্রমানব হয়ে গিয়েছি! উপায় নেই ফেরার!
জীবন প্রত্যাশী? কিন্তু কিই বা আছে পাবার?
কখন মনে হয় আমি ফিরে আসবনা আবার-
ভাবি আমি পথ কি খোলা আছে চলে যাবার?
কন্টকময় স্বর্গে আমি নিজেকে করলাম আবিস্কার,
একাকী পথচলায় এটাই আমার প্রাপ্য পুরস্কার!

শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’

যদি তুমি বলো তবে আমি আকাশ ছুঁতে পারি,
সুদূর আকাশে পাখির মত ডানা মেলে উড়ি!
আকাশ থেকে তোমার জন্য তারা এনে দেব,
তোমার জন্য ভালবাসা বিলিয়ে আমি যাব!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
পাহাড় অতিক্রম করতে পারি যদি তুমি বলো,
তোমার জন্য ভালবাসা মোর হবেনা টলোমলো!
পাহাড় খুঁড়ে তোমার জন্য আনব নীল-কমল!
এটাই আমার দৃঢ় পণ! হতে দেব না দুর্বল!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
যদি তুমি বলো সাগর পাড়ি দেব সাঁরতে!
তোমার হাসি আমার সকল কষ্ট দেয় উতরে।
সাগরের তল থেকে আমি এনে দেব মুক্তো,
আমি জেনেছি আমার জীবনে তুমি আছ যুক্ত!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
যদি তুমি বলো দেব পাড়ি বিশাল মহাশুন্য -
তোমার সঙ্গ আমার একাকীত্বকে করবে পূর্ণ!
পৃথিবীর সকল সুখ এনে দেব তোমার জন্য,
তোমায় ভালবেসে আমার জীবন হল ধন্য!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
কত ভালবাসি তোমায় যদি তুমি জানতে-
কখনও দেখেছ কি ক্ষুদ্র শিশির বিন্দু?
জ্বলজ্বল করে ওঠে প্রভাত রবির কিরণে!
আমার ভালবাসা তেমনি উজ্জ্বল হে বন্ধু!
হৃদয়ের দহন কি বুঝতে পারছো না তুমি?
আমায় ছেড়ে যদি যাও, কিভাবে বাঁচব আমি?
আমার দিকে তাকিয়ে একবার বল আমায়-
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’!
... ... ...
শুধু একবার বলো, ‘ভালবাসি শুধুই তোমায়’

কিছু ভুল

আমি মাঝে মাঝে কিছু ভুল করে ফেলি,
কিন্তু আমি জানি ওগুলো নয় সব মেকি!
হতে পারে এটা আমার অবহেলা-
কিংবা হতে পারে আমি বড় বোকা!
আমি কিন্তু মানুষটা নই এত খারাপ,
আমার লেখায় ঝরে পড়ে সব অনুতাপ!
মনের ভিতর থেকে তাড়িয়ে দিও না আমায়,
হারিয়ে যাব তাহলে আমি সুদূর নীলিমায়!
আমার তরে তুমি বন্ধ করে দিও না দুয়ার,
বাঁচবোনা আমি যদি অবহেলা পাই তোমার।

বাস্তব জীবন

এই মুহুর্তে আমি ভীষণ বিরক্ত,
কম্পিউটার ভাইরাস করছে উত্যক্ত!
পারছিনা কোন কাজ ঠিকমত করতে,
কিভাবে করবো তাও পারছিনা জানতে!
একবার ভাবি সবকিছু ধুয়ে মুছে ফেলি,
চাইলেও কি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি?
ঝামেলার সাথে যুক্ত আছে কম্পিউটার-
বলতেও পারছিনা, ‘এটা কোন ব্যাপার!’
আমাদের জীবনেও কত সমস্যা রয়ে গেছে,
সেগুলোর অনেকটাই অসমাপ্ত হয়ে আছে!
আমারা তো নই মানুষরুপী কোন যন্ত্র,
বিকল হলে ঠিক করে দেবে কোন মন্ত্র!
আমাদের আছে আবেগের ছটা আর ভালবাসা,
আরও আছে আমাদের জীবনের কত আশা!
সামাজিক জীব হিসাবে আছে কত দায়িত্ব,
ঘরে বাইরে সবখানেই আছে কাজের গুরুত্ব!
এর পরে আছে কত সমস্যা! এড়ানো নাহি যায়,
চালাক মানুষগুলো ঠিকিই তো এড়িয়ে চলে যায়!
খুব সহজেই তো আমার কম্পিউটার বদলে ফেলি,
কিন্তু জীবনের সমস্যাগুলো কিভাবে এড়িয়ে চলি?

একাকী পথ চলা

বহুপথ পাড়ি দিয়ে এলাম
আরও বহুদুর হবে যেতে,
কে হবে মোর সাথী
একাকী এই পথে!
যদি থাক মোর সাথে
বাড়িয়ে দিও দুহাত-
প্রার্থনা করি, ‘হে খোদা!
অকালে করোনা জীবনপাত!’
আমি যে বড় একাকী
তুমি জানো হে অন্তর্যামী
লাঘব করো মোর যাতনা
তুমি যে ত্রিভূবন স্বামী!
বহুদূর পাড়ি দিতে হবে
আমি যে বড় একাকী-
যদি না ধরো হাত
কিভাবে যাবো আমি?
সম্মুখে দুর্গম পথ
কিভাবে দিবো পাড়ি?
মাঝপথে এসে তুমি
দিও না যেন আড়ি!
তোমার ভুবনে খোদা
যদি হই অযোগ্য-
নিয়ে যেও তুমি মোরে
দিও পরম আরোগ্য!
কেউ ত বোঝে না
আমি কি যে বলি-
বহুদূর পথ আমি
একাকী তাই চলি!